শীতকালে কেনো ঠোঁট ফেটে যায় ? ঠোঁট ফাটা রোধে কি করবেন ! - রক্তঘর.কম
শীতকাল আসলেই আমাদের অনেকের ই ঠোঁট ফেটে যায় । এটা কোনো বিশেষ সমস্যা নয় । এটা স্বাভাবিক একটি বিষয় ।
ইহা নিয়ে ঘাবড়ানোর কোনো কারণ নেই । ঠিকমত ঠোঁট এর যত্ন নিলেই ঠোঁট হয়ে উঠবে সুন্দর ,নরম এবং আকর্ষণীয় । আজকে আপনাদের কে জানাবো কিভাবে আপনার ঠোঁটের যত্ন নিবেন ।
ঠোঁট ফাটার কারণ কি ?
ভিটামিন সি এর অভাবে ঠোঁট ফেটে যায় । তবে সাধারণ ভাবে বাতাসের আর্দ্রতার কারণে ঠোঁট ফেটে যাওয়া তে ভূমিকা রাখে । ঠোঁটে আদ্রতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে ঠোঁট ফাটতে শুরু করে ।
শীতকালে ঠান্ডা এবং শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাবে আমাদের ঠোঁট ফেটে যায় । এই ঠোঁট ফাটা শুধু বড়ো নারী কিংবা পুরুষেরই হয় না । ছোট বাচ্চাদের থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স্ক মানুষদের ও ঠোঁট ফাটার সমস্যা রয়েছে । তাই আমাদের সবাইকে সতর্ক হতে হবে এই ঠোঁট ফাটার বিষয়টি নিয়ে । না হলে এটি চরম পর্যায়ে পৌঁছে যেতে পারে ।
শুধু কি শীতকালে ঠোঁট ফাটে ?
না , শুধু শীতকালে আমাদের ঠোঁট ফাটার সমস্যা হয় না । এছাড়াও অনেকের বারোমাস ই ঠোঁট ফাটার সমস্যা থাকে । অনেকের তো গৃষ্ম কাল এ ও ঠোঁট ফাটা দেখা যায় । তাই বলা যায় শুধু শীতকালে ঠোঁট ফাটার সমস্যা সৃষ্টি হয় না । তাই আমাদেরকে সব সময় ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে ।
ঠোঁট ফেটে গেলে করণীয় কি ?
ঠোঁট ফেটে গেলে যে সকল করণীয় অবলম্বন করতে হবে সেগুলো নিচে দেওয়া হল । মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ করা হল । এখানে শীতকালীন ঠোঁট ফেটে যাওয়া রোধের করণীয় গুলো দেওয়া হয়েছে তবে এই টিপসগুলো অন্যান্য সময় কাজে লাগবে বলে আশা করা যায় ।
১.জিব্বা দিয়ে বারবার ঠোঁট ভেজানো অভ্যাস পরিত্যাগ করা ।
আমরা অনেকেই বারবার জিব্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজাই । আমরা ভাবি বারবার ঠোঁট ভেজানো ঠোঁট নরম থাকবে , ভেজা থাকবে ।
কিন্তু আসলে বারবার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজালো ঠোঁট আরো শুষ্ক হয়ে যায় । যা আস্তে আস্তে ঠোঁট ফাটা শুরু করাতে ভূমিকা রাখে । তাই বারবার জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভেজানো অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে । তাহলে ঠোঁট ভালো থাকবে ।
২.বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে ।
পানি সবক্ষেত্রে খুব উপকারী তবে সেটা বিশুদ্ধ হওয়া খুব জরুরি । ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর করতে বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে । কারণ পানি পান করাতে আপনার শরীরের আদ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখবে ।
শরীরের আদ্রতা বজায় থাকলে ঠোঁটের আদ্রতা বজায় থাকবে তাই বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে । তাহলে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে দূরে থাকা যাবে ।
৩.লিপ ভ্যাসলিন ব্যাবহার করা ।
ঠোঁট এর আদ্রতা কন্ট্রোলে আনতে বাজারে ভালো মানের বিভিন্ন ভ্যাসলিন পাওয়া যায় । সেগুলো ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে ।
মেরিল ভ্যাসলিন ইত্যাদি ঠোঁটে লাগিয়ে ঠোঁটের আদ্রতা ভারসাম্য বজায় রাখা যায় । তাই সবসময় পকেট ভেজলিন কাছে রাখবেন । ঠোঁট শুকিয়ে গেলে সেটি লাগাবেন , এতে ঠোঁট ভালো থাকবে ।
৪.খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন ।
ঠোঁট ভালো রাখতে আপনার খাদ্যাভাসের পরিবর্তন করুন আপনার খাদ্যাভাসে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার রাখুন ।
ভিটামিন সি এর অভাবে ঠোট ফেটে যায় অনেক সময় । ভিটামিন সি জাতীয় খাবার আহার করুন । এছাড়াও ভিটামিন সি শরীরের ত্বকের জন্য খুব উপকারী ।
৫.রাতে ঘুমানোর আগে মধু বা ঘি লাগান ।
প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আপনার ঠোটে মধু লাগে তারপর ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে পারেন । এতে ঠোঁটের মসৃণতা , উজ্জ্বলতা এবং নম্রতা আরো বৃদ্ধি পাবে ।
আপনি চাইলে মধুর পরিবর্তে ঘি ও ব্যবহার করতে পারেন । প্রথমত এই সকল নিয়মাবলী মেনে চললে প্রচন্ড শীতেও আপনার ঠোঁট থাকবে না বলে আশা করি । ঠোঁট যদি ফেটে থাকে বা ফাটার ভয় থাকে তাহলে উপরোক্ত নিয়মগুলো যথাযথভাবে মেনে চলার চেষ্টা করুন ।
সতর্কতা :
ঠোঁট ফাটলে ঘাবরাবেন না পরিমিত পরিচর্যা করলে আপনার ঠোঁট সুন্দর মসৃণ এবং আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে । আবার ঠোঁট ফেটে চামড়া উঠলে ঠোঁট কামড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে ।
আরও পড়তে পারেন :